সেরা ৫ টি মোটিভেশনাল গল্প যা জীবন পাল্টে দিতে পারে । ধৈর্য্য সহকারে প্রতিটি গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, অবশ্যই আপনি কাজে অনুপ্রেরনা পাবেন ।
অনুপ্রেরনা বা মোটিভেশনাল গল্প -০১ঃ
সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখতে হবে
একদিন এক ভদ্রলোক একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটি ব্যাঙ রেখে পানি গরম করা শুরু করল । পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটিও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করল যদিও সে চাইলেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে লাফ না দিয়ে সহ্য করতে থাকে ।
আস্তে আস্তে পাত্রের তাপমাত্রা যখন আরও বাড়িয়ে ফুটন্ত গরম করা হয় তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দেওয়ার কিন্তু ততক্ষনে তার আর লাফ দেওয়ার মত শক্তি নেই । পানি আরও গরম হতে থাকে যার ফলে সে অতিরিক্ত গরম পানিতে থাকতে থাকতে একটা সময় মারা যায় ।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙটি কিভাবে মারা যাওয়ার কারন কি ??
তাহলে আমরা অধিকাংশরাই বলব যে গরম পানির কারনে মারা গেছে ।
কিন্তু না সে আসলেই গরম পানির কারনে মারা যায়নি, সে মারা গেছে সঠিক সময়ে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারনে ।
ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে একেকটা বিষয়ে সহ্য করার ক্ষমতা থাকে । আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা থাকা অবস্থা সঠিক সিদ্ধান্তটি সঠিক সময়ে নিতে হবে । আবেগ ভালবাসা দেখিয়ে দেরিতে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ।
অনুপ্রেরনা বা মোটিভেশনাল গল্প -০২
এক গ্লাস পানির ওজন কত হতে পারে দেখে নিন
একজন মনোবিজ্ঞানী স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট পড়ানোর সময় রুমে চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় শ্রোতাদের সামনে এক গ্লাস পানি উপর করে তুলে ধরলেন। তখন সবাই ভেবে ছিল হয়তো তিনি গ্লাস অর্ধেক খালি না অর্ধেক ভর্তি এই প্রশ্নটি করবেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। তিনি হাসিমুখে প্রশ্ন করলেন ” এই এক গ্লাস পানি কত ভারী ”। উত্তর আসল ২৫০ এমএল থেকে ৩০০ এমএল ভেতর ।
তখন মনোবিজ্ঞানী বললেন এর অরজিনাল ওজন এখানে কোন ব্যাপার না, ব্যাপারটা হলো আমরা গ্লাসটিকে কতক্ষন ধরে রাখছি, ওজনটাও সেটার উপর নির্ভর করছে।
যদি আমি এটাকে এক মিনিটের জন্য ধরে রাখি, তবে কোন সমস্যা হবে না। যদি এটাকে এক ঘন্টা ধরে রাখি তবে আমার হাতে ব্যাথা অনুভূত হবে। আর যদি একদিনের জন্য এভাবে ধরে থাকি তবে আমি পক্ষঘাতগ্রস্থ বোধ করব। প্রতিটা ক্ষেত্রে এর আসল ওজনে কোন পরিবর্তন হয় না। কিন্তু ধরে রাখার সময় বাড়ার সাথে সাথে এটি ভারী থেকে ভারী লাগতে শুরু করে।
তিনি আরো বিশদে গিয়ে বলেন আমাদের জীবনের চাপ এবং উদ্বেগগুলো এই গ্লাসের পানির মত। যা নিয়ে কিছুক্ষন ভাবলে তেমন কোন কিছু হবে না। কিন্তু এই চাপ আর উদ্বেগ যদি আমরা সারাদিনের জন্য ধরে রাখি, মনে রাখি ।তবে তা আমাদের কোন কিছু করার সামর্থ্যটা কেড়ে নিতে পারে। তাই চাপ কখনো অধিক সময় পর্যন্ত টানতে যাবেন না। এটাকে খুব অল্প সময়ে ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্লাস নামিয়ে রাখতে হবে মনে করে।
গল্পটি থেকে কি শিখলামঃ
১. আপনি কোন একটা বিষয় নিয়ে অধিক সময় নেতি বাচক ভাবলে হতাশ হবেন ।
২. জীবনের চাপ এবং উদ্বেগগুলো বেশি সময় ধরে রাখা ঠিক হবে না ।
আরও পড়ুনঃ জীবন পরিবর্তনকারী সেরা ৫ টি অনুপ্রেরনা মূলক গল্প
অনুপ্রেরনা বা মোটিভেশনাল গল্প -০৩
একটি হাতি এবং তার বিশ্বাস
এক লোক হাতির পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল, হটাৎ থেমে গেলন। একটি বিষয় মনে দ্বিধা তৈরী করায় তিনি থমকে যান। তিনি দেখলেন এতো বড় প্রাণী গুলো শুধুমাত্র সামনের পায়ে ছোট্ট একটি দড়ি দ্বারা বাঁধা হচ্ছিল। কোন চেইন বা কোন খাঁচা নয়। এই দড়ি এতো বড় প্রাণীর পক্ষে ছেড়া খুব মামুলি ব্যাপার। যেকোন সময় চাইলে এটি ছিড়ে তারা মুক্তভাবে চলে যেতে পারে কিন্তু বিশেষ কোন কারণে তারা তা করে না। কারণটাই তাকে ভাবাচ্ছিল।
কাছেই তিনি একজন প্রশিক্ষককে পেলেন এবং জানতে চাইলেন কেন এই প্রাণী গুলো এভাবে দাঁড়িয়ে থাকছে, দূরে পালিয়ে যাবার কোন চেষ্টা কেন করছে না। তখন প্রশিক্ষক উত্তরে বললেন-যখন তারা খুব ছোট ছিল, তখনও তাদেরকে এই সাইজের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো, যা বেঁধে রাখার জন্য তাদের ঐ সময়ের সাইজের জন্য যথেষ্ট ছিল। বড় হতে হতে তারা ধারনা করতে থাকে এই দড়ি তাদের নিয়ন্ত্রন করছে, এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাবে না। এক সময় এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, যেমন এখন, তাদের সাইজ দড়ির চেয়ে বহুগুন বড় হলেও তাদের বিশ্বাস যে, এই দড়ি এখনো তাদের ধারণ করতে পারে। তাই তারা তা ছিড়ে বাইরে যাবার কোন প্রচেষ্টা কোন দিনও করে না।
লোকটি খুব অবাক হয়েছিল। এই প্রাণীগুলো চাইলেই তাদের বন্ধন থেকে বাইরে আসতে পারে কিন্তু শুধুমাত্র “তারা পারবে না ” এই বিশ্বাসের কারণে তারা সেখানেই আটকে থাকে ,যেখানে তাদের আটকে রাখা হয়।
হাতির মত , আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করে বসে আছেন যে জীবনে কিছু করতে পারব না। শুধুমাত্র, জীবনে কোন এক সময় ব্যর্থ হয়েছিলেন এই কারণে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে ।
গল্পটি থেকে কি শিখলামঃ
১. বিশ্বাসই আপনাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে ।
২. ব্যর্থতা হল শিখার একটি অংশ, জীবন সংগ্রামে কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না ।
অনুপ্রেরনা বা মোটিভেশনাল গল্প -০৪
আলু, ডিম আর কফির উদাহরন যা আপনাকে নতুন বিছু শিখাবে
একদিন মেয়ে তার বাবাকে নিজের জীবন নিয়ে হতাশার অভিযোগ করছিল। বলছিল সে আর পারছে না, সে জানে না কিভাবে কি করতে হবে ,লড়তে লড়তে সে আজ ক্লান্ত। এই যেন একটি সমস্যা শেষ হলে আরেকটি হাজির হওয়া।
মেয়েটির বাবা পেশায় একজন রন্ধনশিল্পী। মেয়ের হতাশার কথা শুনে তিনি মেয়েকে রান্না ঘরে ডেকে আনলেন। তারপর তিনটি পাত্রে পানি ভর্তি করে তা আগুনের উপর বসিয়ে দিলেন। যখন পাত্র তিনটিতে বলক আসল, তখন তিনি একটিতে আলু, একটিতে ডিম আর অন্য একটিতে কফি ঢেলে দিলেন। এভাবে আরো কিছুক্ষন সিদ্ধ হতে থাকল, মেয়ের সাথে কোন কথা বললেন না। অপর দিকে মেয়ে অধৈর্য্য হয়ে দেখে যাচ্ছিল বাবা কি করছিল।
বিশ মিনিট পর তিনি চুলা বন্ধ করে একে একে প্রথমে আলু উঠিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে রাখলেন, ডিম রাখলেন আর কফি একটি কাপে ঢাললেন। তারপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন” তুমি এখন কি দেখছো”
মেয়ে উত্তর দিল ” আলু , ডিম আর কফি”
বাবা বললেন ভালো করে দেখো এবং ধরে দেখো।
মেয়ে বাবার কথা মত ধরে দেখলো আলু নরম হয়ে গেছে, ডিমের খোসা খুলে দেখা গেল সিদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে কফির কাপ থেকে বের হয়ে আসা ঘ্রাণে তার মুখ হাসোউজ্জল হয়ে যায়।
‘এসবের অর্থ কি ”বাবা” মেয়ে জানতে চাইল ।
বাবা ব্যাখ্যা করলেন-
আলু, ডিম, কফি বিন যদিও একই তাপমাত্রার ফুটন্ত পানিতে অর্থাৎ একই দৈব পরিবেশের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু নিজের মত করে অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়।
শক্ত আলু নরম হয়ে যায় ।
পাতলা আবরণে সুরক্ষিত নরম ডিম শক্ত হয়ে যায় ।
আর কফি বিনগুলো ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। ফুটন্ত পানিতে এরা নিজেদের মেলে ধরে পানিটাকেই পরিবর্তন করে ফেলে। নতুন এক জিনিস সৃষ্টি করে।
” তুমি কোনটা?” মেয়ের কাছে বাবা জানতে চাইলেন। প্রতিকুল পরিবেশ যখন তোমার দুয়ারে কড়া নাড়বে তখন তুমি কিসের মত প্রতিক্রিয়া দেখাবে?।
গল্পটি থেকে কি শিখলামঃ
১. প্রতিকুল পরিবেশে নেজেকে শক্ত করতে হবে ।
২. পরিবেশ বুঝে নিজেকে উপস্থান করতে হবে ।
অনুপ্রেরনা বা মোটিভেশনাল গল্প -০৫
নো রিস্ক নো গেইন । ঝুঁকি নিতে পারলেই জীবনে সাফল্য আসবে ।
একটা গ্রামে পিন্টু আর মিন্টু নামে দুই যুবক বাস করত । তারা দুজনেই বেকার । দিনমজুরের কাজ ছাড়া গ্রামে আর কোনো কাজই তারা দেখছে না । এইদিকে নব বিবাহিতা স্ত্রী নিয়ে দুজনের একই রকম পারিবারিক অবস্থা । ভিন্ন মানসিকতার হলেও দুজনের একটাই সাধারণ সমস্যা , আর সেটা হলো কী করে টাকা রোজগার করা যায় ।
এই সব ভাবতে ভাবতে পিন্টুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল । সে মিন্টুকে বলল দুজনে মিলে যদি একটা করে গাভী কেনা যায় , তাহলে কেমন হবে । গাভীর দুধ বিক্রি ক’রে কিছু টাকা পাওয়া যাবে । আর গাভীর বাচ্চাও হবে , ফলে গাভীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে । দুধও বেশি বেশি হবে । আর এভাবে দুজনই একদিন অনেক টাকার মালিক হয়ে যাব । গাভীর সংখ্যা যখন বাড়বে , তখন অনেক লোক রাখবে দেখাশুনার জন্য ফলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে —-এভাবে দুজনই একদিন ধনী হয়ে উঠবে ।
এভাবে পিন্টু তার ভাবনার কথা মিন্টুকে জানায় । এই প্রস্তাবটি মিন্টুরও খুব ভালো লাগে । সেও প্রস্তাবে রাজী হয়ে যায় । তারা দুজনে কথা পাক্কা করে ফেলে । খুব আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়ে দুজনেই বাড়ি যায় । দুজনেই তাদের এই উদ্যোগের কথা তাদের নিজেদের স্ত্রীকে জানায় ।
পিন্টুর স্ত্রী সব শুনে খুব আনন্দের সঙ্গে তার গয়না খুলে স্বামীর হাতে দিয়ে বলল ” খুব ভালো পরিকল্পনা , আমার গয়না বিক্রি করে গাভী কেনো । যখন বেশি বেশি রোজগার হবে , গয়না কিনতে আর কতক্ষন । ” স্ত্রীর কথায় গর্বিত হয় পিন্টু ।
ঐদিকে মিন্টু তার পরিকল্পনার কথা স্ত্রীকে জানালে তার স্ত্রী বলে , ” দেখো একে তো আমাদের কিছুই নেই । খালি কয়েকটা মাত্র গয়না সম্বল । আর তা বিক্রি করে গাভী কিনবে । কিন্তু যদি গাভীটি মরে যায তখন কি হবে ”
মিন্টুর মনেও খটকা লাগে । মনে হয় তার স্ত্রী ঠিকই বলছে । কারণ গাভী যদি মরে যায় , একমাত্র সম্বল গয়নাগাটিও যাবে — গাভী ও যাবে । এত ঝুঁকি নেওয়াটা উচিৎ হবে না ।
পরের দিন দুই বন্ধুর দেখা হলে মিন্টু বলে ” ভাই পিন্টু , গাভী যদি মরে তাহলে…. ? “
পিন্টু তখন বলল , ” এত নেগেটিভ চিন্তা করছিস কেন ? কেনার আগেই গাভীর মরার কথা ভাবছিস ? আর গাভী কোন কারণেই বা মরতে যাবে ? ”
মিন্টু একই সুরে হতাশ জবাব দেয় , ” তা তো বুঝলাম যে গাভী মরবে না । কিন্তু ধর , যদি মরে ? তাহলে কী হবে ? “
পিন্টু অত্যন্ত স্নেহ ভ’রে জবাব দেয় , “তোর ‘তাহলে’র জবাব আমার কাছে নেই । ”
মিন্টু বলে ” এই তাহলে’র জবাব আমার কাছে আছে । আমরা বরবাদ হয়ে যাবো । সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো । “
অত্যন্ত বেদনাহত হয়ে পিন্টু বলে , ” কিন্তু তুই কেন বার বার ভাবছিস যে গাভীটা মরে যাবে …..একটু অন্যভাবে ভেবে দেখ , গাভীটা দুধ দেবে । আমরা বিক্রি করবো । প্রথমে পয়সাগুলো জমাবো । তারপর আরও গাভী কিনবো । অনেক পয়সা হবে যখন , তখন অনেক গয়না কেনা যাবে , বাড়িও বানানো যাবে । এভাবে দুধের বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠব দুজন । ”
কিন্তু মিন্টুর ওই এক বুলি এক জিকির ” ব্যবসা টাকা বাড়ি গয়না সব হবে তখনই , যখন গাভীটা বেঁচে থাকবে । ”
এরপর অনেক বোঝানোর পরেও মিন্টু তোতাপাখির মতো বলতে থাকে গাভী মরার কথা ।
পিন্টু আর বোঝাতে পারে না শুধু বলে , ” দেখ মিন্টু , ঐরকম ভাবলে তুই কোনোদিনও কোনো কাজ করতে পারবি না । এই ধরণের ভাবনা ঠিক নয় । কারণ তুই আগে অন্ধকার দিকটাই দেখছিস । ” এইভাবে দুই বন্ধুর তর্কের পর কয়েকদিন গেল । পিন্টু একাই একটা দুগ্ধবতী গাভী কিনে ফেলে । সে এখন আর দিন মজুরের কাজে যায় না । সকাল থেকে সন্ধ্যা গাভীর দেখাশুনা করে , দুধ দোয় । প্রথম কিছুদিন দুধের গ্রাহক খুঁজতে , গাভীর পরিচর্যা করতে কষ্ট হয়েছিল । ধীরে ধীরে পিন্টু এই কাজগুলোতে দক্ষ হয়ে উঠতে লাগলো ।
আর দিনমজুরের কাজের শেষে মিন্টু রোজ তার কাছে আসতো , আর পিন্টুর সংঘর্ষ করার , পরিশ্রমের বিষয়টি দেখতো । আর ভাবতো তাদের দিনমজুরের জীবন কত ভালো ছিল । রোজ সকালে কাজে যেত আর বিকেলে ফিরে এসে সন্ধ্যায় কাজ কর্মহীন আড্ডা দিতে পারত । এখন পিন্টুর জীবনে আড্ডা দেবার অবসর নেই । তার উপর এত ঝুঁকি নিয়ে কেন যে গাভী কিনলো । যদি মরেই যায় । সবই যাবে তার ।
আর ঐ দিকে কালো গাভীর মধ্যেই জীবনের আলো দেখতে পায় পিন্টু । সে দ্বিগুন উৎসাহে কাজ করতে লাগলো । এটা ঠিক যে তার কাছে এখন অবসর নেই । কিন্তু সুন্দর ভবিষ্যতের কল্পনায় সময় নষ্ট করতে সে রাজি নয় ।
এইভাবে দিন যায় । আস্তে আস্তে তার গ্রাহক বাড়তে থাকে । গাভী বাড়তে থাকে । কাজের লোকও বাড়তে থাকে । গাভী ও তার মরে নি ।অন্যদিকে মিন্টু গাভী মরার কথা ভাবে আর একইভাবে দিনমজুরের কাজ করে যায় । এদিকে পিন্টু ধীরে ধীরে ধনী হতে থাকে ক্রমশঃ ।
বন্ধুরা , এই গল্পের ভেতরের বিষয়টিকে যদি আমরা বুঝতে পারি , তাহলে আমাদের জীবনে পদক্ষেপ নেবার শিক্ষাটি অর্জন করতে পারবো ।
এসো খুব কম কথায় দেখে নেই আমরা শিখলামঃ
১. কিন্তু , যদি , তবে ইত্যাদির জালে আটকে পড়তে নেই ।
২. নেতিবাচক ভাবনা কখনোই মাথায় আনতে নেই ।
৩. নো রিস্ক নো গেইন । ঝুঁকি নিতে পারলেই জীবনে সাফল্য আসবে ।
শিক্ষনীয় উপকারী পোস্ট